গাজীপুরে কাঁথায় মোড়ানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও আসামিকে গ্রেফতার করেছেন বাসন মেট্রো থানা পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানাধীন ইসলামপুর এলাকায় শামসুর এর বাড়ি থেকে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় শিখা নামের এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে বাসন থানা পুলিশ। নিহত শিখা বেগম, স্থানীয় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার কাটাখালি গ্রামের মো. সারোয়ার মিয়ার মেয়ে। গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার তারগাঁও এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৪৭)। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ উত্তর এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ জানান, নিহত শিখা বেগম ও মোঃ আবুল হোসেন দুজনে বিয়ে না করেই স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে বাসন থানাধীন ইসলামপুর এলাকার শামসুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। ফাহিম আসজাদ বলেন গত ২১ অক্টোবর রাতে শিখা বেগম তার স্বামী পরিচয় দানকারী আবুল হোসেন সহ কোনাবাড়ি হরিনারচালায় শিখার মায়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে রাত সাড়ে ১০ ঘটিকায় বাসন থানাধীন ইসলামপুরে তাদের নিজের ভাড়া করা বাসায় রাতে আসেন । ২২ অক্টোবর সকালে দুজনের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে শিখা বেগম আবুল হোসেনের কাছে ১৬ হাজার টাকা দাবী করেন। আসামী মোঃ আবুল হোসেন টাকা দিতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে শিখা তার পাতানো স্বামীকে থাপ্পড় দেয় ও কলার চেপে ধরে। পাতানো আসামী ডিউটিতে যেতে চাইলে শিখা বেগম তাকে ডিউটিতে যেতে না দিয়ে রুমের ভিতর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। আসামী আবুল হোসেন তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে শিখা বেগমের গলাটিপে ধরেন, শিখা বেগম অচেতন হয়ে পরলে আসামী কাঁথা দিয়া মুড়িয়ে রেখে রুমের তালা ভেঙে বাহির থেকে দরজার ছিটকিনি দিয়া পালিয়ে যায়। বাসন মেট্রো থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু সিদ্দিক এর নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ সদস্য তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাসন থানা পুলিশ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার থেকে ঘাতক স্বামী মোঃ আবুল হোসেন কে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন মামলা রুজু করা হয়েছে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হবে।