পঞ্চগড়ে সামিউল ইসলাম সয়ন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ২৩ দিন পেরিয়েগেলেও গ্রেপ্তাতার না করতে পারায় আটোয়ারি উপজেলাবাসির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর২৩)দুপুরে আটোয়ারি -রুহিয়া সড়কে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধন করা হয়। এসময় সড়কের দু পাশে দাঁড়িয়ে সয়ন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য জোর দাবী জানান মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।সয়নের মা সেলিনা আক্তার বাবা রবিউল হক ও লাবিব ইসলাম সহ স্থানীয়রা বক্তব্য রাখেন।বক্তারা বলেন সয়ন হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত মুন্নাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।হত্যাকারীরা প্রশাসনের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছেনা পুলিশ। হত্যার নানান আলামত থাকলেও পুলিশ না কি হত্যার রহস্য খুঁজে পাচ্ছেনা।এ ঘটনায় একটি মামলা হলেও পুলিশের কোন আইনি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা বলে জানান বক্তারা।সয়ন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ ফাঁসির দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আরো তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দেন।মানববন্ধন শেষে আটোয়ারি- রুহিয়া সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকেন নিহতের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী। এসময় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আটোয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মুসা মিয়া ঘটনাস্থলে এসে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবোরোধ প্রত্যাহার করে নেন ।উল্লেখ্য যে গত ৬ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে সামিউল ইসলাম সয়ন(২৬)নামে যুবককে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্না সহ কয়েকজন যুবক তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ছিলো বলে যানাযায়।আটোয়ারী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বেধড়ক মারপিট করে রাস্তয় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।পরে স্থানীয় লোকজন সয়ন কে পড়ে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে আটোয়ারি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সয়ন কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।গভীর রাতে গত ৭ ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সয়ন মারা যায়। এঘটনায় সয়নের মা ৮ই সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে ছেলের হত্যাকারী সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে আটোয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এই হত্যার ২৩ দিন পার হলেও দায়ের কৃত মামলার কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে চাপাঁ ক্ষোভ তাদের মধ্যে দেখা যায়।