বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন ১৯৯৯ সা রাল থেকে প্রতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’ অর্থাৎ ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের উদ্যোগে পল্টন কালভার্ট রোড হতে প্রেসক্লাবের সামনে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধনের আয়োজন করে। মাতৃভূমি হার্ট কেয়ারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হানিফ মাস্টারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হার্ট বিশেষজ্ঞ ও মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার লিমিটেডের সিইও ডাক্তার এম এম রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন মাতৃভূমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাইনউদ্দিন মিয়া, মাতৃভূমি গ্রুপের উপদেষ্টা ও সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ বাপ্পি সরদার, মাতৃভূমি গ্রুপের পরিচালক ক্রয় মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া, পরিচালক মার্কেটিং মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রত্যাশার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় বক্তারা বলেন ,দেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তার মধ্যে ১৭ শতাংশরই হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরেল, স্থুলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, ধুমপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। সারা বিশ্বে বছরে ১৯ লাখ মানুষ তামাকের কারণে হৃদরোগে মারা যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করছে, যা হৃদরোগকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। তাই সময় থাকতে হার্ট বা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার ছয়টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার মূলত বিনা অপারেশনে প্রাকৃতিক বাইপাসের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে শত শত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে হার্ট অ্যাটাক কেন ও কি কারনে হয় এ বিষয় সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমে বেশি বেশি অনুষ্ঠান প্রচার করার দাবি জানান বক্তারা।
শোভাযাত্রা ও মানববন্ধনে মাতৃভূমি গ্রুপের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।