গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসা পরিচালনার এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত এবং পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দিনব্যাপী শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী ঈদগাহ আলিম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষের খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে দুপুরের পরে পুলিশ পরিস্থিতি স¤পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়। সারাদিন ধরে এলাকায় বেশ থমথমে অবস্থা বিরাজ ছিল। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতদের নামে (ভারঃ) অধ্যক্ষ মোজহারুল ইসলাম গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শোলাগাড়ী আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির (এডহক) সভাপতির বোর্ড অনুমোদন পান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক জালাল উদ্দিন রুমি এবং সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) দায়িত্ব পান মোজহারুল ইসলাম। মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক এমন পরিপত্রে স্থানীয় ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবেক সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিনহাজ উদ্দীন সরদার। সপ্তাহ দুয়েক যাবত তিনি জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ ও কক্ষ আগলে রাখার চেষ্টায় স্থানীয়ভাবে পেশীশক্তির প্রভাব বিস্তার করেন। বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও সুধীজনদের মতবিনিময় সভা আহ্বান করেন। পূর্ব ঘোষিত এ সভা অনুষ্ঠানকালে অতর্কিত সংঘবদ্ধ হামলা চালায় সাবেক (ভারঃ) অধ্যক্ষ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা মাদ্রাসা চত্বরে প্রবেশের সময় ভাংচুর করে ত্রাস সৃষ্টি করলে লোকজন বিভিন্ন দিকে ছুটে পালায়। এ সময় ছামাউন ইসলামকে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম, শাহাদৎ হোসেনের পেটে ধারালো ছোরা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করা সহ অন্তত ১০ জনকে আহত করে। মাদ্রাসায় উপস্থিত জনতা একত্রিত হয়ে মিনহাজ গংদের ধাওয়া করে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহতদের মধ্যে উপজেলার শিবপুরের ফতুপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র সামিউল ইসলাম (৩০), বর্ধনকুঠি গ্রামের মৃত দুলাল উদ্দীনের পুত্র শাহাদত হোসেন ও শিবপুর পাড়াকচুয়া আলামিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে মাদ্রাসা এলাকা আমাদের নজরদারীর মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।