কানাডার বৃহত্তম শহর টরেন্টোর খোলা মাঠে ফোবানা সম্মেলনের নতুন চমক দেখলেন কানাডা প্রবাসীরা। ফোবানার ইতিহাসে এটাই প্রথম খোলা মাঠে সম্মেলনের আয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অন্যান্য ফোবানা সম্মেলনে দর্শনীর বিনিময় থাকলেও টরেন্টোর ফোবানায় ছিলো অবাধ প্রবেশাধিকার। গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) উক্ত ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে। টরেন্টো হল কানাডার বৃহত্তম শহর এবং ব্যবসা, অর্থ, প্রযুক্তি, বিনোদন এবং সংস্কৃতিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। সারা বিশ্ব থেকে অভিবাসীদের বিশাল জনসংখ্যা টরেন্টো বিশ্বের অন্যতম বহুসংস্কৃতির এই শহরে বহু বাংলাদেশি অভিবাসীরাও বসবাস করছেন। তাই টরেন্টো শহরেই সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নে গিয়াস-মাসুদ। সম্মেলনে গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন ফোবানা চ্ছোরিং কমিটির চেয়ারম্যন গিয়াস আহমেদ, চ্ছোরিং কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মাসুদ রহমান, আসিফ বারী টুটুল, আবু যুবায়ের দারা, হাসানুজজামান হাসান, কাজী ওয়াহিদ এলিন, সৈয়দ এনায়েত আলী, খন্দকার ফরহাদ, তোফায়েল রহমান, মুফিজুল ইসলাম রুমি, মনিরুল ইসলাম, দেওয়ান আজিম জুয়েল, মোহাম্মদ হাসান ও সৈয়দ সামসুল আলম। ফোবানা চ্ছোরিং কমিটির চেয়ারম্যন গিয়াস আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে নতুন করে সুসম্পর্ক তৈরি ও মেলবন্ধনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিসহ ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসার ঘটানোই এ ফোবানা সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। এবারে আমাদের এই ফোবানা সম্মেলন পুরোটাই সফল হয়েছে। তবে আমরাই একটি ব্যতিক্রম করেছি যেটা এর আগে কেউ কখনও করেনি। এবারই প্রথম আমরা খোলা মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করেছি। অন্যান্য ফোবানায় দর্শনীর বিনিময় থাকলেও টরেন্টোর আমাদের ফোবানায় ছিলো অবাধ প্রবেশাধিকার। এ সম্মেলনে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন চ্ছোরিং কমিটির চেয়ারম্যন গিয়াস আহমেদ। রাতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শত শত দর্শকশ্রোতা বিভন্ন শিল্পীদের নাচ গান উপভোগ করেন। শনিবার ও রবিবার ডেনফোর্থ এভিনিউ ও বার্চ মাউন্ট সড়কে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী পবন দাস বাউল, বেবী নাজনিন, সেলিম চৌধুরী, প্রতিক হাসান, বিন্দু কনা, তাহসিনা মিম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও অভিনেত্রী তানজিন তিশা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এদিকে একই শহরের অন্য একটি গ্রুপ আরেকটি ফোবানা সম্মেলনের আয়োজন করলেও সেখানে সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি ছিল। এ দু’টি সম্মেলনের আয়োজকরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি বলে জানা গেছে। একটি পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় খুশি হয়েছেন টরেন্টো প্রবাসীরা।