ঠাকুরগাঁও জেলায় স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাতে নিহত স্টিফান তিরকির (৪৮) হত্যার ঘটনায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ২০ আগষ্ট রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ। ব্রিফিংয়ে ডিবি পুলিশের ওসি মো: আনোয়ারুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফিরোজ কবির সহ ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, স্টিফান তিরকি একজন শেলোমেশিন মেকার। দীর্ঘদিন থেকে তার পাশ্ববর্তী এলাকার গ্রাবীয়েল ওরফে গাবে টপ্পো ও জুলিয়ান টপ্পোর সাথে জমি দখলের চুক্তির টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় উল্লেখিত ২ জন স্টিফান তিরকিকে একাধিকবার মারপিটও করে। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে গ্রাবীয়েল ওরফে গাবে টপ্পো ওই এলাকার রবি ড্রাইভারের বাড়ির সামনে রাস্তায় স্টিফান তিরকির তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে স্টিফান তিরকির কাছে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার গ্রাবীয়েল ওরফে গাবে কেড়ে নিয়ে তার বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী ভেরনিকা খালকো বাদী হয়ে গ্রাবীয়েল ওরফে গাবে ও জুলিয়ান টপ্পোর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত গ্রাবীয়েল ও জলিয়ানকে গ্রেফতার করে। ২০ আগষ্ট রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।