গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যবসায়ীকে মারপিট করে স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী রাম কৃঞ্চ কুন্ডু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযোগ ও প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোলাপবাগ বাজারের ব্যবসায়ী রাম কৃঞ্চ কুন্ডু (৬৫) প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার (২২ জুলাই) নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসে মালামাল বিক্রি করছিল। বিকালে আনুমানিক সোয়া তিনটার দিকে চিন্ময় কুমার সাহা শুভ্র (৩২) দলবল সহ কুন্ডু ভ্যারাইটি স্টোরের সামনে এসে রাম কৃঞ্চকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় রাম কৃঞ্চ তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে এবং দোকানের সামনে থেকে চলে যেতে বলে। তখন চিন্ময় সাহা শুভ্র ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভিতরে থাকা ক্যাশ টেবিলের সামনের বেঞ্চে বসে পড়ে এবং আঙ্গুল তুলে রাম কৃঞ্চ কুন্ডুকে তুই-তোকারি বলে নানাভাবে হুমকি দেয়। রাম কৃঞ্চ তাকে দোকানের ভিতর থেকে বের হয়ে যেতে বললে চিন্ময় সাহা শুভ্র তার সাথে হাতাহাতি শুরু করে। দোকানের কর্মচারীরা চিন্ময় সাহা শুভ্রকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার হুকুমে তার যমজ দুই ভাই শান্ত কুমার সাহা (২৫), প্রান্ত কুমার সাহা (২৫) ও জ্যাঠাতো ভাই দীপক কুমার সাহা (৩৫) মিলে রাম কৃঞ্চের মুখে ও মাথায় এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। রাম কৃঞ্চের সাথে মারপিটের সময় চিন্ময় সাহা শুভ্র তার গলা থেকে ২ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৮০ টাকা। সেই সময় শান্ত সাহা, প্রান্ত সাহা ও দিপক সাহা সুযোগ বুঝে দোকানের ক্যাশ ড্রয়ার থেকে ৪ লক্ষ টাকা তুলে নেয় এবং রাম কৃঞ্চকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তখন রাম কৃঞ্চ চিৎকার করলে আশেপাশের দোকানদার লিটন কুন্ডু, শিবু মহন্ত, জাহিদুল ইসলাম, মান্না মিয়া, আনিছ প্রমুখ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এই হামলা ও মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের দুজন আহত হয়েছে। এ হামলা, মারামারি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাম কৃঞ্চ কুন্ডু বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে অপরপক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।