সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেন, এই শান্তির চৌদ্দগ্রামে বিএনপির আমলে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা এতই নৈরাজ্য-অত্যাচার চালিয়েছে যে এখন জামায়াতের এজেন্ট দেয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন চৌদ্দগ্রামে তাহেরের বডিগার্ড মুনাইয়া মোতাইয়াদের আধিপত্য ছিল। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা এলে মানুষ ভয়ে আতংকে থাকত।জামায়েতের আমলে র্যাবের ক্রস ফায়ারে দুইজনেই শেষ। তাহের সাহেব তাদের রক্ষা করতে পারে নাই। চৌদ্দগ্রামে এখন আর রগকাটা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নেই। মানুষ শান্তিতে আছে। শনিবার (১৫জুলাই) বিকালে উপজেলার বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের এই এমপি। এসময় তিনি আরো বলেন, এই চৌদ্দগ্রাম একসময় ছিল অবহেলিত। এখানে মন্ত্রী ছিলেন কাজী জাফর, এমপি ছিলেন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ তাহের। কিন্তু উন্নয়নের কিছুই হয়নি। আমি এমপি-মন্ত্রী হওয়ার পর সমস্ত চৌদ্দগ্রামের সকল রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ভবন, মসজিদ-মক্তবের উন্নয়ন করেছি। মানুষ নির্বাচনে ভোট দেয় এলাকার উন্নয়নের আশা করে। আগের এমপি-মন্ত্রীরা তা করেনি। আমি কিন্তু তাদের মতো বেঈমানি করি নাই! আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং উন্নয়ন করেছি। এমপি আরো বলেন, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে সেই সেবা আপনারা পাবেন। এইদেশের মানুষের প্রয়োজনে আমার নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ভিপি ফারুক আহম্মেদ মিয়াজীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূইয়া হাসান,পৌর মেয়র জি এম মীর হোসেন মীরু,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুলসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।