জেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে সকাল নয়টায় বিপৎসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার, বেলা ১২টায় ২১ সেণ্টিমিটার এবং বিকেল তিনটায় ২৭ সেণ্টিমিটার নিচে নামে। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেণ্টিমিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানাগেছে, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে গত রোববার রাত থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। সোমবার সকাল নয়টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বেলা ১২টায় ও তিনটায় বিপৎসীমার ১০ সেণ্টিমিটার নিচে নামে। বিকাল তিনটায় আরও পানি কমে বিপৎসীমার ১৮ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ফের পানি বেড়ে বিপৎসীমার পাঁচ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে কমতে থাকে। নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে থাকায় ব্যারেজের সবকটি (৪৪) গেট খুলে রেখে সর্তকাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদীর পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। এতে করে নিমাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেনি। নদীর পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রামের মানুষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন,‘উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখতে ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বভাবিক রয়েছে’।