যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের কৃষি খাতে ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের সুবিধার্থে সে দেশের ‘মৌসুমী কৃষি শ্রমিক স্কিম’-এর সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।
হাইকমিশনার আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন যুক্তরাজ্যে তাদের ৬ মাসের চুক্তিভিত্তিক থাকার সময় শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে। তিনি আরও বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য ব্রিটিশ সরকার ও বেসরকারি খাতের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের কৃষি খাতে আরো বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান জানান।
যুক্তরাজ্যের ‘সিজনাল এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার্স স্কিমের’ আওতায় প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সোমবার মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক ব্রিফিং সেশনের আয়োজন করে।
একটি ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক নিয়োগ সংস্থা, রিজেন্সি রিক্রুটমেন্ট লিমিটেড, এই শ্রমিকদের একটি ব্রিটিশ খামারের জন্য নিয়োগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত হাই কমিশনের এক বার্তায় একথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দ্বারা কর্মী নিয়োগের সুবিধা ছিল।
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক আরো বিদেশী কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘অভিবাসী বাংলাদেশী কর্মীরা এখন অনেক দেশে মর্যাদার সাথে কাজ করছেন এবং আরও বেশি রেমিট্যান্স উপার্জনের পাশাপাশি একটি দেশ গড়ে তুলছেন। বাংলাদেশের জন্য এটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি।
এ উপলক্ষে ‘রিজেন্সি রিক্রুটমেন্ট যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে এই প্রকল্পের আওতায় আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
সিইও উল্লেখ করেছেন যে, রিজেন্সি রিক্রুটমেন্ট লিমিটেড একমাত্র অনুমোদিত সংস্থা যা ইউকে এর মৌসুমী কৃষি কর্মী প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ থেকে খামার কর্মী নিয়োগের জন্য এবং সংুিশ্লষ্ট সকলকে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের নিয়াগের প্রস্তাব দেয়।
তিনি প্রথম ব্যাচের কৃষি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
খামারের একজন মুখপাত্র বলেছেন: ‘আমরা একটি পরিবার-চালিত খামার যা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। আমরা প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের কৃষি শিল্পের উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেখে আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস যে আরও কঠোর পরিশ্রমী বাংলাদেশিরা ভবিষ্যতে মৌসুমী শ্রমিক প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিজেন্সির রিক্রুটমেন্ট ডিরেক্টর নাসিম তালুকদার, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার শালিম আবস এবং লিয়াজোন কনসালটেন্ট মাহবুব নূর ম্যাবস।
কর্মীরা নিয়োাগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নিয়ম-কানুন মেনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।