রামগঞ্জে শেষ মূহুর্তে এসে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।বেচাকেনাও ভালোই হচ্ছে। বাজারে গরুর সরবরাহ ভালোই ছিল কিন্তু দাম না ছাড়ার কারণে এতদিন তেমন একটা বেচাকেনা হয়নি। ক্রেতারাও ঘাপটি মেরে বসেছিল দাম কমার আশায়। শেষ মূহুর্ত এসে পরায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই একটু নরে চরে বসেছে। তবে দেশী এবং মাঝারি ধরনের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষন একটু বেশি,দামও কিছুটা সাশ্রয়ী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ আর্থিক অসংগতির কারনে অনেকেই এবার কোরবানি দিতে পারছেনা। তাই বেচা বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না বলে বেশ কয়েকজন বিক্রেতা জানান।উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এবার প্রচুর অস্থায়ী গরুর হাট বসেছে। উপজেলার একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট হলো রামগঞ্জ সোনাপুর বাজার। হাটের দিন ছাড়াও সেখানে গরু,ছাগল বেচাকেনা হচ্ছে। এ ছাড়া অস্থায়ী বাজার গুলোতে এতদিন হাট না জমলেও এখন হাটগুলো খুব জমজমাট। হাটে ছোট বড়,মাঝারি সব ধরনের গরু ছাগলই উঠেছে। ক্রেতারা যে যার সাধ্যমত গরু ছাগল কিনছে।এসব হাটে সর্বোচ্চ ৪লাখ হতে সর্বনিন্ম ৮০ হাজার টাকা দামের গরু এবং ছাগল ১০ হাজার হতে ৪০ হাজার টাকা দামের ছাগলই বেশী দেখা গেছে। আজ সোমবার আথাকরার পঁচা মার্কেট,লক্ষ্মীধর পাড়া বাজার, নাগমুদ বাজার, ভাটরা বাজার,সোনাপুর বাজার সহ বেশ কয়েকটি গরুর হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতা আশিক মিয়া, শাহাদাত হোসেন, হারুন অর রশিদ সহ অনেকেই জানান,বাজারে গরুর সরবরাহ প্রচুর তবে দাম ছাড়ছে না।আশা করা যায় এই দুই,একদিনে গরুর দাম অনেকটাই কমে যাবে। এদিকে বিক্রেতা রবিউল পাটোয়ারী, হাসান আহমেদ খোকন,আবদুল আউয়াল সহ জানান এবার গোখাদ্যের দাম বেশী হওয়ার খরচ বেশী পড়েছে আর তাছাড়াও এবার গরু বেশী দামে ক্রয় করতে হয়েছে তাই কমে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।টার্গেটের কম যদি গরু বিক্রি করতে হয় তাহলে বিপুল অংকের লোকসান গুনতে হবে।