লক্ষীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নে ব্যবসায়ী শামছুদ্দিনের পরিবারের সৃজিত বাগানের গাছ কেটে উজাড় করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় বাধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছেন চারজন। সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আবদুল আউয়ালের নের্তৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এ ঘটনায় বুধবার (২১ জুন) বিকেলে ব্যবসায়ী মো: শামছুদ্দিন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আব্দুল আউয়াল ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ভোরে দত্তপাড়া বাজার সংলগ্ন চৌধুরী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শামছুদ্দিন দত্তপাড়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মৃত আবদুল আজিজের ছেলে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে আবদুল আউয়াল বহিরাগত বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে এসে শামছুদ্দিনের ফলজ ও কাঠ গাছ কাটতে থাকে। খবর পেয়ে শামছুদ্দিনের ছেলে মিজান বাধা দিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে মিজানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহবুবুর রহমান ও মো: ইউনুস আহত হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ আসার আগেই দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এর আগেই ৪ টি নারিকেল গাছ, ২ টি শিল করই গাছ ও ১ টি মেহগুনি গাছসহ নানা প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করে দেয় তারা। এতে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। শামছুদ্দিন বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তির গাছ কোন কথা ছাড়াই তারা কেটে পেলেছে। আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা আইনের দ্বারস্ত হয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার কামনা করি। বর্তমানে আসামীদের হুমকিতে আতংকে রয়েছি। এভাবে দিনের আলোতে সন্ত্রাসী কায়দায় গাছপালা কর্তনে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুল আউয়ালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে। দ্রæতই আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।