লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম কাজির খিল গ্রামের দৌরে আলী মিঝি বাড়ির কবর স্থান থেকে দাফনের ৯ দিন পর আসমা আক্তার(২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করে করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুনের উপ¯ি’ততে লাশটি উত্তোলন করেন পুলিশ। এ ঘটনায় কাজীরখীল গ্রামের দৌরে আলী মিঝি বাড়ীর তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে গৃহবধূ আসমা আক্তারের স্বামী কাজী শাহেদুজ্জামান রিমন (প্রকাশ লিমন) কে আটক করা হয়। আসমা আক্তারের বাবা মোঃ আলম জানান, আমাদের বাড়ী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার নাইটং পাড়ায়। আমার মেয়ে আসমা আক্তার ও রামগঞ্জ উপজেলার কাজি শাহেদুজ্জান লিমন একটি গার্মেন্টেসে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ১১ বছর পুর্বে প্রেমের সর্ম্পকে আমার মেয়ের সাথে রিমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা উত্তর পতেঙ্গার পশ্চিম হোসেন আহম্মদ পাড়া, খেজুর তলা জনাব আলী স্কুল সংলগ্ন এলাকা ভাড়া বসায় বসবাস করে আসলিছ। তাদের ১০বছর, ৩ বছর ও ১০ মাস বয়সের তিন সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন চলতি মাসে ১০জুন আমার মেয়ে আসমার স্বামী লিমন প্রকাশ লিমন আমার মোবাইলে কল দিয়ে জানায় আমার মেয়ে আসমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সংবাদ আমার অন্য মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনকে জানিয়ে মেয়েকে দেখার জন্য ঘটনার ¯’লে আসতে চাহিলে আসমার স্বামী লিমন জানায় তার পেট ফুলে গেছে। তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। এর পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি আমার মেয়ের লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে চাটখিল উপজেলা নিয়ে গেছে। আমাকে দেখানো হয়নি। এ ঘটনার তিনদিন পর আমার মেয়ের সঠিক মৃত্যুর কারন ও খোঁজ না পেয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পতেঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম জানান, আমরা মামলা হওয়ার পর তদন্তে নেমে পড়ি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে অ্যাম্বলেন্স চালকের সাথে কথা বলি। আটক করা হয় গৃহবধূ আসমা আক্তারের স্বামী শাহেদুজ্জামান রিমনকে। তারপর তাকে সাথে নিয়ে আদালতের নির্দেশে লাশ উদ্ধার করতে সোমবার সকালে রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর উপস্থিতিতে রামগঞ্জ উপজেলার কাজীরখীল গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে আসমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন জানান, আদালতের নির্দেশে ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন ইসলামের তত্বাবধানে কাজীরখীল গ্রামের দৌরে আলী মিঝি বাড়ীর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পতেঙ্গা থানা পুলিশ পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।