লাঙ্গলের ফলায় সোনালী ফসলের আশায় মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন বাবুল। বিএনপি দলীয় হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন না করার ঘোষণার পর এন্টি আওয়ামীলীগ ভোট লাঙ্গলের ফলায় ঘরে তুলতে মরিয়া নজরুল ইসলাম বাবুল ইতোমধ্যে দেখা করে দোয়া নিয়েছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সান্নিধ্যে গিয়ে। এর আগে আরিফুল হক চৌধুরীর কট্টর সমালোচক আওয়ামীলীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শেষমেশ আরিফুল হকের বাসায় গিয়ে তার দোয়া এবং সহায়তা চেয়েছেন বিজয় নিশ্চিতের আশায়। পর্যালোচকদের বক্তব্য আনোয়ারুজ্জামানের চেয়ে আরিফের দোয়া নজরুল ইসলাম বাবুলকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। পর্যালোচক ও ভোটারদের অভিমতের ভিত্তিতে আগামী ২১জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরের ফলাফল হওয়ার আশংকা করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা । খোদ আওয়ামী শিবিরে নেতা কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে লাঙ্গল।তারা গাজীপুরে জায়েদা খাতুনের বিজয়কে এন্টি আওয়ামী ভোটের বিজয় ধরে সিলেটে সিটিতে আঁটসাঁট বেধে নামতে চায়। দীর্ঘ দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সিলেটে আওয়ামিলীগের চেয়ে এন্টি আওয়ামীলীগ ভোট বেশি তবে লাঙ্গল নিয়ে কতটা সুবিধা করতে পারবে তা বুঝা যাচ্ছে না। অনেকে বলছেন লাঙ্গল তো আওয়ামীলীগেরই ছায়া বিএনপি যদি নৌকা ঠেকাতে লাঙ্গলে ভোট দেয় তাতে বিএনপির কি লাভ? দুশ্চিন্তা আছে বিএনপির সমর্থক ভোটারদের মাঝেও। গুঞ্জন রয়েছে বিএনপি ঘরণার ভোট মাওলানা মাহমুদের হাত পাখায় যাওয়ারও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে । সিলেটের সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কথা হয় বালুচর এলাকার হাফিজ ইমাম আলীর সঙ্গে তিনি জানান ভোট নিরপেক্ষ হবে। কোনো ধরণের সহিংসতা সিলেটে হবেনা বলে আশা প্রকাশ করেন, তিনি যোগ করেন বর্তমান মেয়র আরিফুল নির্বাচনে না এসে মারাত্মক ভুল করেছেন। হাফিজ বলেন আরিফ নির্বাচন করলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি জিততেন। কথা হয় ঈদগহ এলাকার মুরুব্বী সামসু মিয়ার সঙ্গে তিনি জানান এন্টি আওয়ামীলীগের ভোট লাঙ্গলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভোট কেমন হবে জানতে চাই তাঁর কাছে সমছু স্পষ্টভাবে বললেন ভোট নিরপেক্ষ হবে কারচুপির সম্ভাবনা নেই। বর্তমান মেয়র আরিফুল নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন তার প্রচুর জনপ্রিয়তা ছিলো নমিনেশন জমা দিয়ে ঘরে বসে থাকলেও তিনি বিজয়ী হতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলা বিক্রেতাকে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাই তিনি জানান তাঁর পরিবারে ৫ টা ভোট সব সময় আরফুল সাব (বর্তমান মেয়র আরিফুল)কে দেই এবার আরফুল( আরিফুল) সাব নাই ভোট দিতে যাবোনা। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে কথা হয় প্রায় একশোরও বেশি মানুষের সঙ্গে আনোয়ারুজ্জামান কে চেনেন না অনেকে। মাস পনরো দিন ধরে নাম শুনছেন নৌকার প্রার্থী। বেশিরভাগ মানুষই জানান বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিকল্প নাই একটি নান্দনিক নগরী গড়ে তুলতে তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো শুধুমাত্র বিএনপি দলীয় মেয়র তকমা থাকার কারণে সরকারের আন্তরিক সহযোগীতার অভাবে অন্যান্য যেকোনো সিটি করপোরেশন থেকে উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে সিলেট। রাজনৈতি নিরপেক্ষ অভিজ্ঞরা বলছেন যে সকল জায়গা রাজনৈতিক রাঘব বোয়ালদের দখলে ছিলো এর আগে আওয়ামীলীগ দলীয় মেয়র যিনি ছিলেন সেসময় এক ইঞ্চি জায়গা উদ্ধার করতে পারেননি। বর্তমান মেয়র আরিফুল তা উদ্ধার করতে সক্ষম হন, অবৈধভাবে গড়া বিশাল বিশাল স্থাপনাগুলো আরিফুল ভেঙ্গে গুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। কারো শক্তি আর রক্তচক্ষু তাঁকে আটকাতে পারেনি।সিলেটে প্রায় সবার মুখে মুখে ফিরছে সিলেটের উন্নয়নে আরিফুলের বিকল্প নাই। কে আসছে ২১ জুনের নির্বাচনের পর এখন সেই হিসাব করছেন না কেউ। সিলেটের উন্নয়ন হোক যে কারো চেষ্টায়, যে কারো হাতের ছোঁয়ায়, উন্নয়ন বঞ্চিত এই শহরের মানুষের সেটাই প্রত্যাশা।