বৃহত্তর সিলেটে তীব্র গরমে নানা রোগের প্রাদুরভাব দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বর,মাথাব্যথা ও পেটের পীড়নে ভুগছে মানুষ। বৃষ্টিহীন সিলেটে মানুষ হা-পিত্যেস করছে কয়েকদিন থেকে। বৃষ্টির জন্য চাতকের মত আকাশ পানে এখন চেয়ে আছেন ভাটির বাসিন্দারা। যেখানে এই মৌসুমে বানের পানি নিয়ে সামাল সামাল রব উঠার কথা সেখানে এবার অবাক হওয়ার মত পানি শূন্যতা। এদিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তীব্র গরমে ও পানিবাহিত জীবাণুর সংক্রমণে পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জন্ডিস, পানি শুন্যতা রোগী বেড়েছে । এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন ভীড় করছেন স্থানীয় ঔষধের দোকান ও হাসপাতালে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশী ভাগই শিশু। প্রতিদিনই নানা উপসর্গ নিয়ে গড়ে ৫০ জন রোগী যাচ্ছেন উপজেলার সরকারী হাসপাতালে। এরমধ্যে কাউকে দেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসা, আবার কোন রোগীর অবস্থা জটিল হলে ভর্তি করা হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে অধিকাংশ গ্রামে পানিবাহিত জীবাণুর সংক্রমণে পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জন্ডিস, পানিশুন্যতা ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার দুপুরে সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়েছেন, এরমধ্যে বেশীর ভাগ রোগী ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত। উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের কৃষক মনির হোসেনের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার শিশু সন্তানকে। এখন তার শরীরের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। সুরমা ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের তাছলিমা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সকালে ১১ মাস বয়সের কন্যা জামিলাকে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীর স্বজনরা বলছেন, হাসপাতাল থেকে ঔষধ, স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহীন খান বলেন, গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ জন রোগী ভর্তি হয়। প্রচণ্ড গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দূষিত পানি পানের ফলে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে আইভি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধও যথেষ্ট পরিমাণে আছে।