নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার সুন্দরী বালা বাগচির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মুলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান নিতাই বর্মন ও আরেক মেম্বার বিপুলের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ৮ নং ওয়ার্ড গোয়ালবাড়ি গ্রামে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে টাউট মেম্বার বিপুল বিশ্বাস ও নিতাই বর্মনের মুখে ঝাটা মারো তালে তালে শ্লোগান করতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড থেকে আসা বিক্ষোভকারীরা বলেন, সুন্দরী বালা বাগচি একজন সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি। যার কারনে আমরা তাকে ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড থেকে বার বার নির্বাচিত করেছি। তিনি সব সময় আমাদের পাশে থাকেন। তাকে অযোগ্য মেম্বার কেন বলা হল? বিপুল মেম্বার এক জন বড় মাপের টাউট। এই টাউটের মুখে আমরা ঝাটা মারি ও জুতার বাড়ি দি। তার এই কুবাক্য ব্যবহারের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। অপর দিকে মহিলা মেম্বার সুন্দরী বালা বাগচি বলেন, মুলিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নিতাই বর্মন এক জন অশিক্ষিত, মূর্খ,ও নেশা খোর। তিনি জীবনভর নারী লোভী। বিগত সময়ে মুশুড়িয়া গ্রামে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়ে ঝাটা পেটার শিকার হয়েছিলো নিতাই বর্মন। কিন্তু তারপরও তার স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি। দোলপূর্ণিমার দিন পরিষদের ভিতর জোরপূর্বক আমার স্পর্শকাতর স্থানে রং দিতে জান এই প্যানেল চেয়ারম্যান নিতাই বর্মন। আমি দৌড়ে পাশের বাড়ি আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে আমাকে রং দেয়।এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার উপর নানাবিধ অভিযোগ এনে মেম্বারদের একত্রিত করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এই চরিত্রহীন মেম্বার নিতাই বর্মনের শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার নিতাই বর্মন বলেন, সে আমার গায়ে আগে রং দিয়েছে তার পর আমি দিয়েছি। আমি কোন মদ গাঁজা খাই না। অপর দিকে আরেক অভিযুক্ত মেম্বার বিপুল বলেন, আমি তাকে অযোগ্য বলেনি। তার কর্মকাণ্ডকে অযোগ্য বলেছি। এ বিষয়ে মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। বিষয়টি সকল সদস্যদের কাছে জেনে বিষয়টি মিমাংসা করব।