দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গত এক সপ্তাহে দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। নিহতরা হয়েছে। শনিবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের কোব্বাত মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সোহাগ নিহত হয়। এর আগে গত সপ্তাহে একই ভাবে বেগমগঞ্জের বিলাসকেও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, জীবিকার সন্ধানে গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান সোহাগ। গত বছর বাড়িতে এসে বিয়ে করে নয় মাস ছিলেন তিনি। গত বছর পঞ্চম রমজানে বাড়ি থেকে আফ্রিকায় যান সোহাগ। এরই মধ্যে তার একটি ছেলে সন্তান হয়। সন্তানকে দেখার জন্য এবার ঈদের পর বাড়িতে আসার কথা ছিল সোহাগের।
শনিবার (১ এপ্রিল) ইফতার শেষ করে চার সহকর্মীসহ নিজ দোকানে যান সোহাগ। এর কিছুক্ষণ পর একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট শুরু করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা সবাইকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে সোহাগ ও তাদের দোকানের প্রহরী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের দ্রæত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোহাগের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত সপ্তাহেন বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকার নাজিরপুর গ্রামের যুবক বিলাসকেও সন্ত্রাসীরা দোকানে গুলি করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এই দুটি নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ জানান, এটা খুবই দু:খজনক যে প্রবাস থেকে কোটি কোটি টাকা পাঠিয়ে যারা বাংলাদেশের চলার চাকা সচল রেখেছে তাদের খুনের সাথে জড়িতদের বিচার হয়না। তাদের স্বজনরা বিচার পায়না। এ বিষয়ে সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুর কন্যা বিশ^ নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন তিনি যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সে দেশের সরকারের সাথে কথা বলে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। প্রয়োজনে দ্রæত আফ্রিকায় দূতাবাস স্থাপন করে সেখানকার বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। আর কোন মায়ের বুক খানি না হয় প্রবাসের মাটিতে।
আর কোন বাংলাদেশী যেন এভাবে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার না হয়, আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করার দাবী জানিয়েছে প্রবাসীদের স্বজন ও এলাকাবাসী।