মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে সকল ভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে ৬৭ জন বিদেশি অতিথি ও শিল্পীকে নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা বিশ্ব মায়ের সুর-ছন্দ-সংগীত-বাণী শিরোনামে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে পালিত হলো অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের নানা কর্মসুচি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে বিকাল ৩.০০ টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে একাডেমির আয়োজনে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষির আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথি ও শিল্পীরা। মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত ও অমর একুশের গান। আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা ও তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মহাপরিচালক। ‘বিশ্বের সব মার্তৃভাষা রক্ষা করবে বাংলাদেশ’ আয়োজন নিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষির শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় অংশ নেন বাংলাদেশসহ, জাপান, ইরান, নেপাল, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, জার্মান, আলজেরিয়া, আমেরিকা, সোমালিয়া, ভুটান, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে জাপানি শিল্পী মায়ে ওয়াতানাবে ও সানসুকে মিজুতানি বাংলা ভাষায় গান পরিবেশন করেন, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নেপালের শিল্পীরা, দলীয় মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন ভারতের একদল শিল্পী। ২য় পর্বে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন বিদেশি শিল্পীরা। জাপানি ভাষায় গান, ইংরেজি কবিতা পাঠ করেন কানাডার শিল্পী মোহাম্মদ যুশা সাবিহ, ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন চাকমা, ইলাওয়াতী, ইনদাহ পারমাতা লুবিস, রাশিয়ান শিল্পী ভিকটোরিয়া জাখারোভা কবিতা পাঠ করেন, ফিউশন গান পরিবেশন করেন আমেরিকার শিল্পীরা। বিদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিল্পীরাও গান পরিবেশন করেন। আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে সব ভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে সন্ধ্যার আয়োজনে বিশেষ পরিবেশনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষায় গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন তারা।