প্রায় ২৮ বছর আগে অভিনয় করার একরাশ স্বপ্ন বুনেছিলেন জেপি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী মুরতজা পলাশ ।সেই স্বপ্ন নানা কারণে পিছিয়ে পড়লেও থেমে থাকেননি এই ব্যবসায়ী। মোহাম্মাদ আলী মুরতজা পলাশের জন্মস্থান মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জম দুয়ারা গ্রামে । মানিকগঞ্জবাসী তাকে বহু প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে চেনে । তার অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েছে তিনি সফল ব্যবসায়ী,গায়ক,অভিনেতা,দানবীর ও আধ্যাত্মিক জগতের একজন মানুষ। এছাড়াও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মানবসেবার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মোহাম্মাদ আলী মুরতজা পলাশের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে জেপি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে । তারপর থেকে, তিনি বিশ্বব্যাপী উপস্থিতিসহ কোম্পানিটিকে একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায় পরিণত করেছেন। পলাশের নেতৃত্বে জেপি গ্রুপের নতুন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে: আল পলাশ গার্মেন্টস: দুবাই-ভিত্তিক এই কোম্পানিটি আফ্রিকায় পোশাক রপ্তানি করে। আলিশা রিয়েল এস্টেট: এটি দুবাই-ভিত্তিক কোম্পানি যা ফ্ল্যাট ক্রয় এবং বিক্রি করে। দুবাই হাউজিং সেক্টরে কোম্পানিটি অনন্য। পলাশের নেতৃত্বে জেপি গ্রুপের দেশীয় ব্যবসার মধ্যে রয়েছে: জেপি গ্লোবাল ট্রেড: পাইকারি ও ট্রেডিং, জেপি আরএমজি: মার্চেন্ডাইজিং, অ্যাপারেল এক্সপোর্ট। জেপি টেলিকম: মোবাইল অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ ট্রেডিং,জেপি অর্গানিক অ্যাগ্রো লিমিটেড: কৃষি, ডেইরি, ফিশারিজ এবং অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন ,জেপি ফ্লাওয়ার মিল্স লিমিটেড: সাদা আটা পরিশোধন, গুঁড়া, খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসা,জেপি ইকো রিসোর্ট : রিসোর্ট এবং জমি উন্নয়ন ব্যবসা,জেপি রিয়েল এস্টেট : জমি উন্নয়ন ও নির্মাণ ব্যবসা,জেপি কনসালটেন্সি এন্ড প্রপারটিজ লিমিটেড: সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় সমাধান এবং সম্পত্তি পরামশ, জেপি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল: ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস,টিকিট বুকিং। একজন সফল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি তিনি বর্তমানে সময় পার করছেন গান গেয়ে ও একই সাথে অভিনয় করে । মূলত তার অভিনয় করার ইচ্ছা ১৯৯৬ সালে যাত্রার বই দেখে মঞ্চে নাটক করার থেকে জাগে। ২০২৩ সালের সেই ইচ্ছাকেই যেন স্বপ্নের মত বাস্তবে রূপ দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়া জগতে পা রাখেন ‘একুশে’ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মন যখন এমন’ নাটকের মাধ্যমে। টেলিভিশন সহ নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২২ টি নাটক করছেন এই অভিনেতা। কম সময়ে অধিক নাটকে অংশগ্রহণের কারনে দর্শকদেরও অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছেন পলাশ।একটি গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান হয়ে অভিনয়ের জন্য সময় দেওয়াটা আশ্চর্যজনক বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন একাধিক ব্যবসায়ী ও অভিনেতারা। দৈনিক নবচেতনাকে অন্তত দেওয়া একান্ত বক্তব্যে মোহাম্মাদ আলী মুরতজা পলাশ বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি সময় দেওয়াটা আসলেও অনেক কষ্টকর। তবে ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় সে কথাটি ভুল নয় । অনেক সময় ব্যবসায় লস দিয়ে হলেও অভিনয় ও গানে সময় দেওয়া হয় । অনেকেই আমাকে বলে আমি মানুষ নাকি মেশিন? মাঝেমধ্যে শুটিং সেটে আমার অফিসের কর্মকর্তারা ফাইলপত্র নিয়ে আসে সিগনেচারের জন্য। তখন সবাই বিষয়গুলো আশ্চর্য ভাবে দেখে । গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিক হয়ে কেনো অভিনয়ে সময় দেওয়া হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এসব কিছুই হচ্ছে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা,ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে দেখানো ও বৃদ্ধ বয়সে অবসর সময়ে দেখব আমি কেমন ছিলাম! এগুলোর জন্যই। বলা যায় এক প্রকার শখ থেকেই এমনটা করা । বাবার কথামতো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে নিঃস্বার্থভাবে এখনো মানুষের সেবা করি। ভবিষ্যতেও নিঃস্বার্থভাবে করে যাবো। এছাড়াও বিনোদন মানুষের আত্মার খোরাক,সেই দৃষ্টিকোণ থেকে জয় পাগল মাল্টিমিডিয়া ও জয় পাগল ইউটিউব চ্যানেলটার মাধ্যমে গান এবং নাটকের মধ্যে দিয়ে সংস্কৃতির সাথে যতদিন থাকা যায় থাকবো এবং ভালো কিছু করবো। সবশেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে পলাশ বলেন, অনেক এমন কনটেন্ট আছে যেখানো খারাপ দৃশ্য ও গালিগালাজ করে যা ফ্যামিলি নিয়ে দেখা যায় না। এমন নাটক বা কনটেন্ট সবসময় আপনারা বর্জন করবেন এবং না দেখার অনুরোধ করবো। এছাড়াও সুস্থ ধারার সংস্কৃতি গড়তে এমন নাটক দেখতে হবে যেটিতে সামাজিক শিক্ষা, নীতি-নৈতিকতা, পারিবারিক শিক্ষা, শিক্ষনীয় মেসেজ থাকতে পারে এই টাইপের নাটক বা সিনেমা দেখে অভিনয় শিল্পীদের পাশে থাকবেন।