মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা গত চার বছরে লাগাতার যমুনা ও পদ্মা নদীর বালু চুরি করে চড়া দামে বিক্রি করে বনে গেছেন কোটিপতি। স্থানীয়রা জানায়, দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইজাল বাচ্চু মিয়া গত চার বছর দিনের পর দিন স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলার সরকার দলীয় গুটি কয়েক নেতাকে ম্যানেজ করে যমুনা ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কোটি কোটি ঘন ফুট বালু চুরি করে চড়া দামে বিক্রি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি। তার স্বার্থ হাসিলের জন্য টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ পদবী লাগিয়ে নদীর বালু চুরি করে হয়ে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক। এই স্বার্থ হাসিলে বলি হয়েছে নদীর তীরের শত শত পরিবারের বসত ভিটা ও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি স্থাপনা। আর সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। ইউনিয়নের একাধিক নেতারা জানায়, বাচ্চুর পরিবার ছিলো হতদরিদ্র। নদীতে জাল বেয়ে মাছ ধরে কোন রকম সংসার চালাইতো। সেই থেকে এলাকায় সে মইজাল বাচ্চু নামে পরিচিত। তার মা বর্তমান এমপির বাড়িতে কাজ করতো। এখন তিনি এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ক্ষমতার কারনে তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। এখন উপজেলার অবৈধ বালুর ব্যবসার মহানায়ক সে। বর্তমান এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায় থেকে তিন চার বছরে পদ্মা ও যমুনা নদী থেকে সে অনেক টাকার বালু চুরি করেছে। শুনেছি প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে এই বালুর ব্যবস্যা করেছে। তাই তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করলেও প্রশাসন নেয়নি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা। জনমনে প্রশ্ন, কই তার নামেতো বালু চুরির মামলা হলো না ? তারা আরো বলেন, আবার শুনেছি কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পেরে মাইরও খাইছে। এমন একজন মানুষকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করায় এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা চিন্তিত। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, বাচ্চু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এরফলে ইউনিয়নের শেষসীমানায় দয়ারামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: বাচ্চু মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার জানা মতে সে একজন সাংগঠনিক ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়েও কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।