কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মিয়ানমারের অস্ত্রধারী নবী হোসেন গ্রুপের মধ্য ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামংখালীর সীমান্তবতী এলাকায় গোলাগুলি হয়। বিজিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তাও সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনার সত্যতা জানিয়েছেন।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‘মিয়ানমার থেকে দুজন নারী-পুরুষ ওই সীমান্ত দিয়ে এপারে প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা বিজিবির সদস্যরা তাদের জিজ্ঞেসাবাদকালে অতর্কিত সেদেশের ‘সন্ত্রাসী’ গ্রুপ নবী হোসেনের ২০-৩০ অস্ত্রধারী সদস্যরা বিবিজির টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছুক্ষণ উভয় পক্ষে গোলাগুলি চলে। পরে অস্ত্রধারীরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।’’
ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী মাদক ডিলার হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী নবী হোসেনের স্ত্রী। মিয়ানমার থেকে এপারে আসার চেষ্টা করছিল। আমি এই মূর্হতে বিজিবির সঙ্গে সীমান্তে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজিব বলেন, ‘বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ নবী হোসেনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সীমান্তে ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় বিজিবি সেখানে পৌঁছলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। জবাবে বিজিবি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়লে ইয়াবা সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।