চট্টগ্রাম বন্দর একদিনও বন্ধ হয়নি বলে বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। গত ১৪ বছরে বন্দরে যে সক্ষমতা হয়েছে তা বর্তমান সরকারের সু-দৃষ্টি ও দায়িত্বের কারণে হয়েছে। এতকিছু দূর্যোগের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জাহাজ হেন্ডেলিং হয় চট্টগ্রাম বন্দরে আধুনিক প্রযুক্তিতে সক্ষম। বাংলাদেশের রাজস্ব প্রায় ৪০ শতাংশ যোগানদাতা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯২ শতাংশের বার্ণিজিক্য ফ্লাটফর্ম হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। বাংলাদেশের মোট নৌ-বার্ণিজ্যিক কন্ট্রেইনারের ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হেন্ডেলিং এই বন্দরের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। শিপিংয়ে বিশ্বায়নের বর্তমান যুগে কম ভাড়ায় বেশি পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি একটি আর্ন্তজাতিক চাহিদায় পরিণত হয়েছে। গত ১৬ই জানুয়ারী চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বো”চ ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট সম্পন্ন জাহাজ বার্থিং এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার এটি রোবাট চেট্রন ডিকশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এর সভাপতি মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মঞ্জুর কাদের, সৈয়দ আরিফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা বলেন দেশের দীর্ঘ জাহাজ বার্থিং এর মাধ্যমে আনায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে নৌ-বাণিজ্যে এক উজ্জ্বল দিগন্তের সূচনা হয়। ১০ মিটার ড্রাফট এর জাহাজ এর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য অর্থাৎ বর্তমান অনুমোদিত ড্রাফটের চেয়ে ১০ মিটার বেশি দৈর্ঘ্যরে জাহাজ আনায়নের মাধ্যমে বাল্ব কেরিয়ার জাহাজসমূহ ৫ হাজার টন বাড়তি কার্গো এবং কন্ট্রেইনিয়ার জাহাজ সমূহ ৫০০ টিইইউএস কন্ট্রেইনার পরিবহনে সক্ষম হবে। ফলে বাল্ব কন্ট্রেইনার পণ্য হেন্ডলিং এর বৃদ্ধমান সমূহের দক্ষতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কম খরচে এবং পণ্য হেন্ডেলিং এর নব দিগন্তের সূচনা হলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম জোনস এন্ড টেরিটোরিয়া এ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নৌ-বাণিজ্যের অপার সুযোগ সুবিধার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। তারই সুযোগ্য কন্য বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ভারত এবং মায়ানমারের সাথে আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গপোসাগরে অপার সামুদ্রিক সম্ভাবনার ধার উম্মোচন করেন। সুনীল অর্থনীতির এই যুগে যা আমাদের জন্য বিশাল বড় প্রাপ্তী। এবং এর ফলে সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বিকাশের পথ প্রসস্থ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেশের বৃহত্তর জাহাজ হেন্ডেলিং এর মাধ্যমে নব অধ্যায়ের সূচনা করল। যা আমদানি রপ্তানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হ্রাসের পাশাপাশি আমদানি রপ্তানি হার তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। যা রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
###