টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ নাফ নদীতে ৩৫ কেজি ওজনের এক জোড়া কোরাল মাছ ধরা পড়েছে এক জেলে বড়শিতে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া এলাকার জেলে আমির হোসেনের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়ে।
এর মধ্যে বড় কোরালটির ওজন ১৮ কেজি ও ছোট কোরালটির ১৭ কেজি। পরে তিনি মাছ দুটি টেকনাফ পৌরসভার মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি।
জেলে আমির হোসেন জানান, শাহ পরীর দ্বীপ জেটিতে বসে নাফ নদীতে সকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারী মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন।
পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন, একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। এরপর তিনি আবারও বড়শি ফেলেন। তিনবার বিফল হন। কিন্তু চতুর্থবারে আরও একটি মাছ আটকা পড়ে। সেটির ওজন ছিল প্রায় ১৮ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ দুটি দেখতে স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন।
আমির আরও বলেন, ইদানীং নাফ নদীতে জেলেদের বড়শিতে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। সকালে ৩৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ দুটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলম জানান, পৌরসভার বাসস্টেশন মাছ বাজারে নিয়ে মাছ দুইটি প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা দামে বিক্রি করার জন্য দাম দিয়ে ছিলাম। পরে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কেজি ১ হাজার টাকা দামে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফ নদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। এরা সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কখনও কখনও এর চেয়ে বেশি ওজনেরও পাওয়া যায়। প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।