সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিন মিলে টানা তিন দিনের ছুটিতে দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মতো রাঙ্গামাটির পর্যটন স্পটগুলোও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। শুক্রবার থেকেই রাঙ্গামাটির হোটেল মোটেলগুলোর কোনো রুম খালি নেই। এক রুমে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের। অনেককে বিভিন্ন স্কুলে ও বাসে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে রাঙ্গামাটির মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিও কানায় কানায় পর্যটকে পরিপূর্ণ। ইতিমধ্যে সাজেকের ছোট-বড় সব কটেজ শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। অতিরিক্ত পর্যটকদের জন্য তাঁবু খাটিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শুরুতে কিছুটা কম পর্যটক এলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো বুকিং রয়েছে। পর্যটক আসায় খুশি ব্যবসায়ীরা। রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটক লোকমান হাকিম বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রাঙ্গামাটি। আমাদের দেশের মানুষ কেন বিদেশে যায়, জানি না। বিদেশে গিয়ে যে টাকা খরচ করে তার চেয়ে অনেক কম খরচে রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণ করা যায়, আনন্দও বেশি পাওয়া যায়। ছয় বছর আগেও আমি দেশের বাইরে যেতাম ঘুরতে। এখন আর যাই না।’ পর্যটক বিশেষ রাবেয়া বেগম বলেন, ‘রাঙ্গামাটিতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। এখানে যে সব পর্যটন স্পট আছে সেগুলো যদি আরো একটু সাজানো যায় তাহলে কোনো পর্যটকই দেশের বাইরে যাবেন না। সবাই রাঙ্গামাটিতেই বেড়াতে আসবেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে সাজেক ছিলাম। আজ রাঙ্গামাটিতে ঘুরছি। মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে আছি।’ রাঙ্গামাটি বোট ইজারাদার মো. রজমান আলী বলেন, ‘তিন দিনের টানা ছুটিতে অনেক পর্যটক এসেছেন। আশা করছি আগামী দিনগুলোতেও আরো অনেক পর্যটক রাঙ্গামাটিতে আসবেন। তিনি বলেন, বোট ভাড়া খুবই সীমিত রাখা হচ্ছে।’ রাঙ্গামাটি হোটেল স্কয়ার পার্কের ম্যানেজার মো. রায়হান বলেন, ‘রাঙ্গামাটির হোটেলগুলোতে পর্যটকের আগমন ভালো হয়েছে। আমাদের হোটেলসহ অন্যান্য হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে। আশা করছি আগামীতেও রাঙ্গামাটিতে আরো বেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে।’ রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বড়ুয়া বলেন, ‘শুক্রবার থেকে রাঙ্গামাটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসেন ঝুলন্ত সেতু এলাকায়। গত দুই দিন থেকে আমাদের আবাসিক রুমে প্রায় ৯০ ভাগ বুকিং রয়েছে। এখনো আমাদের কাছে ফোন আসছে রুমের জন্য। শুধু পর্যটন কমপ্লেক্স নয় রাঙ্গামাটির সব কয়টি হোটেল মোটেলই পরিপূর্ণ। কোথাও কোনো রুম খালি নেই।
নবচেতনা /এমএআর