কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। এতে স্থলবন্দরে পণ্যসামগ্রীসহ ৪৫টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর স্থলবন্দর থেকে এসব ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া কথা ছিল। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা উৎকোচ (ঘুষ) দাবি করায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যবাহী ট্রাকের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এ সময় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বন্দর থেকে পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান থেকে প্রতি টনে এক হাজার ও গাড়িপ্রতি এক হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অথচ এসব ট্রাকের সব রাজস্ব ঠিকভাবে পরিশোধ করে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ৪৫টি ট্রাক স্থলবন্দরে আটকা পড়ে।
উৎকোচের টাকা দাবির অভিযোগের বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। কাগজপত্রের সমস্যা থাকায় কয়েকটি পণবাহী ট্রাক যাচাই-বাছাইয়ের শেষে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটা পর্যন্ত পণ্যবাহী ২৭টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ছেড়ে গেছে।
সন্ধ্যায় নারকেল, সুপারি, শুঁটকি, আদা, আচার ও কাঠ নিয়ে ৪৫টি ট্রাক ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন। এ ছাড়া শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চিঠি দিয়ে কয়েকটি ট্রাকে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ট্রাকের কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। টাকা দাবির বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার নুরুল বশরের মোবাইলফোনে কল করা হলে ব্যস্ত আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।