ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী রাজধরপুর গ্রামের দিলীপ ঘোষের বাড়ীর সামনে নদীর কুলের একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত এবং পূর্বের রাস্তার ইটের সলিং উঠে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। যার কারনে অনেক বছর যাবৎ ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের কামারখালী বাজার থেকে গয়েশপুর, চরকসুন্দি, জারজননগর, দয়ারামপুর, নাওড়াপাড়া, গন্ধখালী, ফুলবাড়ী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল।
রাস্তার বেশির ভাগ অংশ এখন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে পরে রয়েছে। আবার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৭নং ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক বাদশা মন্ডল জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থা পূর্ণ রাস্তার কারনে এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাতে স্থানীয়দের চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভ্যান চালক সাখাওয়াত জানান, এ রাস্তাটি যেন দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পরে। আমি গরিব মানুষ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা পায়ে হেটে চলাই কষ্ট তারপর আবার ভ্যানে কিভাবে মানুষ নিয়ে চলাচল করবো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী টিটো মোল্যা জানান, রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারন তাদের দীর্ঘ ভাঙ্গা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারনে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মত শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না আবার অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে চরম ঝুকির পর ঝুঁকি।
ওই রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙ্গে গর্ত হয়ে পাশে নদীতে নেমে গেছে। যার কারনে স্কুলে যেতে আমাদের খুবেই কষ্ট হয়। তাই ইউনিয়ন বাসীর স্থানীয় সরকারের নিকট দাবী রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে দেয়া হোক।