নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বালাগ্রাম সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় চত্বরে চোখে পড়ে সারি সারি কলাবতী, চায়নাটগর, নয়নতারাসহ রকমারি ফুলের গাছ। স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে স্লাইড, জঙ্গল জিম, দোলনা, স্লিপার, বসার বেঞ্চসহ বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম। ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রয়েছে শহীদ মিনার। এমন মনোরম পরিবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক উপস্থিতিও বেড়েছে। ইতিমধ্যে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ওই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন।
জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে গেছে আউলিয়া খানা নদী। নদীর পাশে গড়ে উঠেছে সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যা ১৯২৯ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৩৪৭ জন। এর মধ্যে বালক ১৬৯জন এবং বালিকা ১৭৮জন। উপবৃত্তি পায় মোট ৩৪৬জন। শিক্ষক রয়েছেন ৭জন।
সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজালুর রহমান বলেন, স্কুল ও স্কুলের পরিবেশ সুন্দর হলে স্কুলের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসলে পড়ালেখায় মনোযোগী হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসতে চায় না। নিয়মিত স্কুলে না আসলে তাদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে আগ্রহ কমে যায়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন পড়ালেখায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, করোনা মহামারীর কারণে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে, শিক্ষার্থীরা অনেকটাই শিক্ষা বিমুখী হয়েছে। এই সমস্যা কাটিয়ে পুনরায় তাদের স্কুলের পরিবেশে নিয়ে আসার জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি মানসিক বিকাশের কোনও বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য বালাগ্রাম সাউথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।