নাটোরের বাগাতিপাড়ার উপজেলায় ফসলি জমি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের (১৭) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের নবম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী প্রেমিকাকে সেফ কাস্টডিতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকালে নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম ওই আদেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হক জানান, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে বয়স বিবেচনায় সেফ কাস্টডিতে পাঠানোর আদেশ দেন। তাকে নাটোর কারাগারের মাধ্যমে রাজশাহী শিশু কিশোর সংশোধাণাগারে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, রবিবার সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলার বিল থেকে পীরগঞ্জ সাধুপাড়া স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও কাফকো গ্রামের কৃষক রাসেদুল ইসলাম রাশুর ছেলে জাহিদুল ইসলামের (১৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
নিহতের মা জাহেদা বেগম ও বোন রাশেদা জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ওই কিশোরীর সঙ্গে জাহিদের প্রেম চলছিল। দু’জনের মনোমালিন্যের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এই হত্যার ঘটনায় রবিবার রাতে নিহতের মা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর কিশোরী প্রেমিকাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে ওই আসামিকে আদালতে তোলা হয়।
বাগাতিপাড়া মডেলথানার ওসি সিরাজুল ইসলাম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারসহ হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।