ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনা সদস্যদের হত্যার পাশাপাশি হাজার হাজার গাছ কেটেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানের কালিমন্দিরে আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ উপকমিটির আয়োজনে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ‘চার মাসব্যাপী চারারোপন ও পরিচর্যার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দু’একটি গাছ কাটা হয়েছিল, সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলতেই পারেন, কিন্তু তার চেয়ে বহুগুনে বেশি গাছ আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাগিয়েছি; সেটা কেউ দেখছে না। আজকেও আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেই বেছে নিয়েছি গাছ লাগানোর জন্যই।’
“এই উদ্যান এমন ছিল না। এই উদ্যানে গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, এই উদ্যানে গাছ লাগিয়ে আরও দৃষ্টিনন্দন করেছেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। অথচ এই উদ্যানে গাছ কেটে শিশু পার্ক নির্মান করা হয়েছিল।”
ক্ষমতাকে নিষ্কন্ঠক করতে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার গাছ কেটেছিলেন বলে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখন বাংলাদেশে একটি অদ্ভুত তৎপরতা চালু করেছিল সেটা হচ্ছে কারফিউ। প্রতিদিন রাতের বেলায় কারফিউ। ঢাকা চট্রগ্রামে ছিল বছরের পর বছর কারফিউ। ঢাকার রাস্তার দুই পাশে গাছপালা ছিল, সেই গাছপালাগুলো জিয়াউর রহমান সব কেটে ফেলেছিলেন।’
“জিয়াউর রহমানকে নাকি কেউ একজন বলেছিল গাছের ফাঁক দিয়ে আপনাকে গুলি করতে পারে। সে জন্য সব গাছ কেটে ফেলেছে, ক্ষমতাকে নিষ্কন্ঠক করার জন্য জিয়াউর শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার আর জোয়ানকে হত্যা করেছে তা নয়, ঢাকা শহরের হাজার হাজার গাছও কেটে ফেলেছে।”
এ সময় পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর আমরা হেফাজতকে দেখলাম, গাছের কি দোষ? বিএনপি জামাত মিলে ঢাকা শহরের রাস্তার ধারের সব গাছ কেটে ফেলেছে। তখন আমি দেখলাম যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন, তখন তাদের নিশ্চুপ থাকতে দেখেছি। যেটা বিব্রতকর।’
বন ও পরিবেশ উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাথেন আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।