ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনের ফল বাতিল ও মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও আগামীকাল সব জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ন্যক্কারজনক। এ ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সাহায্য করে না, ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, একটি টিভি চ্যানেলে খবরও প্রকাশ হয়েছে যে, সরকারি দলের ছাত্রলীগের এক ছেলেকে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বলেছে, তাকে পয়সা-টয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগের লোকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশ হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানান বিএনপির মহাসচিব। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাজধানীতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশি ও অনেককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
দুটি উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে কোনো নির্বাচনই বলা যায় না। এটা একটা পাতানো ও জালিয়াতির নির্বাচন হয়েছে। এর থেকে জনগণের দৃষ্টিকে দূরে রাখার জন্য বাস পোড়ানোর ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে।
ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী নিজে এবং তার প্রধান এজেন্ট আবদুস সালাম গেছেন। সেখানে তারা দেখেছেন কেন্দ্রে ভোটারদের কোনো উপস্থিতি ছিল না। ভোটারদের বের করে দিয়ে তারা সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে। আমাদের প্রার্থীদের সেন্টারে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিএনপির যে ভোটার কেন্দ্রে এসেছে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে বলা হয়েছে যে, এবার আপনি চলে যান। অর্থাৎ বোটন চাপ দেবে ধানের শীষে আর সেই ভোট চলে যাবে নৌকায়। এভাবে তারা ভোট ডাকাতি, ভোট ছিনতাই করেছে। এটা এবার নতুন স্টাইল চালু করেছে। এসব নির্বাচন থেকে আবার নতুন করে প্রমাণিত হল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। ওই রকম সরকার ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম ও দলের কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।