কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ফের অভিযান চালিয়ে মালিক বিহীন ৪লাখ ২৪ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকা থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাতে টেকনাফ সীমান্ত প্রহরী ২ বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা দমদমিয়া নাফনদী সীমান্ত উপকুল অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ৫টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে আবারও ৪লক্ষ ২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।এসব ইয়াবার চালান আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়সাল হাসান খান। বিজিবির পাঠানো প্রেস থেকে জানা যায়, টেকনাফ ২বিজিবির আওতাদ্বীন হ্নীলা দমদমিয়া বিওপিতে দায়িত্ব পালনকারী সদস্যদের একটি টহল দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নাফনদী অতিক্রম করে মিয়ানমার হতে একটি বৃহৎ ইয়াবার চালান বাংলাদেশ সীমান্ত উপকুলে প্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) গভীর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত নাফনদী সীমান্ত উপকুলে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা দেখতে পায় মাদক পাচারে জড়িত কয়েকজন যুবক নাফনদী সাঁতরিয়ে নাফনদী বেড়িবাঁধের উপর উঠার চেষ্টা করছে। এরপর বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ইয়াবা পাচারে জড়িত অপরাধীরা বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাদের সাথে থাকা ৫টি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে দিয়ে নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরিয়ে বাংলাদেশের শুন্যরেখা অতিক্রম করে কৌশলে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায় বলে জানায় বিজিবি। এদিকে বিজিবি ঘটনাস্থল তল্লাশী করে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ইয়াবাভর্তি ৫টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে তার ভিতর থেকে ৪লক্ষ,২৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বিজিবির দাবী এই ইয়াবা গুলোর আনুমানিক মুল্য ১২কোটি,৭২ লক্ষ টাকা। টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খাঁন (পিএসসি) বলেন। মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার জন্য এখনো সক্রিয় রয়েছে। তবে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধারকৃত এই ইয়াবা চালানের সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য বিজিবির গোয়েন্দা সদস্যদের গোপনী অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলো পরবর্তিতে অনুষ্টানিক ভাবে বিনষ্ট করণের লক্ষ্যে ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।