রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
২ ৯ জুলাই বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে ‘ আমি মনে করি না। যাদের আটক করা হয়েছে তারা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের কাছে থাকা কিছু একটার বিস্ফোরণ হয়েছে। তারপরও তদন্ত হবে। এরপর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এদিকে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তিনজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে অস্ত্র, গুলি আর ওয়েট মেশিনসহ ধরে আনার পর ২৯জুলাই বুধবার সকাল ৬টার দিকে ওয়েট মেশিনটি বিস্ফোরিত হয়। এসময় পুলিশসহ ৫ জন আহত হন। ঘটনার পর সিটিটিসিসহ পুলিশের সকল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আরও কোনও বোমা আছে কি-না তা অনুসন্ধান করে দেখে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় নবচেতনা অনলাইনকে বলেন, ‘নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে পুলিশ স্থানীয় তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি এবং একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিন পাওয়া যায়। আসামিদের নিয়মিত মামলায় নাম রয়েছে।’
আসামিরা কেন, কী কারণে বোমাগুলো এনেছিল, সেগুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে- সবকিছু বের করা হবে বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে কার ওপর হামলার জন্য এসব বোমা তারা সঙ্গে রেখেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে পল্লবী থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের ধারণা, ওয়েট মেশিনের ভেতর বোমা ছিল। মেশিনটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে থাকা আরও কয়েকটি বোমা অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে নিষ্ক্রিয়করণে কাজ করে। বোমা দুটি থানার ভেতরেই নিষ্ক্রিয় করা করা হয়েছে।
পল্লবী থানার একজন এএসআই বলেন, ঘটনাস্থলে র্যাব, পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, সিটিটিসি, বোম ডিসপোজাল ইউনিটসহ পুলিশের সব ইউনিট কাজ করছে। ঘটনাস্থলের বর্ণনা পুলিশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে সব বোমা নিষ্ক্রিয় করার পর বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।