গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ১৬ মাস আগে উদ্বোধন হয় উপজেলার মডেল মসজিদটি। কিন্তু এতদিনেও নামাজসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালু হয়নি। প্রশাসনের দাবি গণপূর্ত বিভাগের গাফিলতির জন্য সম্ভব হচ্ছে না নামাজ চালু করা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন- মসজিদের বেশ কিছু কাজ এখনো অসম্পূর্ণ আছে। সেগুলোর বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে জানানো হয়েছে কিন্তু তারাই এ কাজে গড়িমসি করছে। যেহেতু কাজ অসম্পূর্ণ সেহেতু নামাজ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে আবার আটকে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ইমাম, মোয়াজ্জিন এবং খাদিম পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিলো কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও গণপূর্ত বিভাগ মসজিদ টি আমাদের কে এখনো হস্তান্তর না করায় নিয়োগ টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখনও বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। রং করা এবং দরজা জানালারও কাজ বাকি রয়েছে।এসবসহ আরো বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ দেখতে পাওয়া যায়। মোটকথা এলোমেলো অবস্থা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আরো বিস্তর জানতে গণপূর্ত বিভাগ,গাইবান্ধা, নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম রফিকুল হাসান এর মুঠোফোন এ একাধিক বার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রিং হলেও তিনি তার মুঠোফোন টি ধরেন নি। উল্লেখ্য, নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখে পলাশবাড়ী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ-উদ্বোধন করা হয়েছে গত ৩০-০৭-২৩ইং তারিখে। সারাদেশের ন্যায় ৫ম পর্যায়ে নির্মানাধীন ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের অংশ হিসেবে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ-উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পলাশবাড়ী পৌরশহরের অফিসেরহাটে নির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের হলরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মসজিদের ফলক উম্মোচন করেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি। উদ্বোধনের ১৬ মাস পার হলেও অবহেলায় পড়ে আছে পলাশবাড়ী উপজেলার মডেল মসজিদটি। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ টি খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান সংশ্লিষ্ট দায়িত্বহীন কর্তাব্যক্তির উপর।