নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার আবিরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদেরকে মারধর করার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেনির ছাত্রছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্বারক প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। ঘটনাটি ঘটে আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। প্ররিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। স্থানীয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, কয়েক দিন ধরে এলাকার কিছু শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবী জানান। গত ৬ নভেম্বর বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে মাসুমের নেতৃতে শতাধিক প্রক্তম ছাত্র ও এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে এলো পাথারী ইট পাটকেল ও কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এতে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়। প্রধান শিক্ষকে মারধর করে লিখিত পদত্যাগপত্রে এবং দুইটি সাদা কাগজে সই আদায় করে নেয় সন্ত্রাসীরা।= এর প্রতিবাদে রোববার প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা ধরে ৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ১০ শ্রেনি পর্যন্ত সকল ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্বারক প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থীরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরিক্ষা বর্জন করেছে। আন্দোলনকারী বিদ্যালয়ের ছাত্র সালমান আহম্মেদ জানান, প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে আনার ব্যবস্থা হলে ক্লাস ও পরিক্ষা দিব। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি, রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন। প্রধান শিক্ষককে সাবেক প্রধান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলমের তত্তাবধানে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঝুট ঝামেলা শুরু হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির সাধারন সম্পাদক শওকত আকবর জানান, প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকের হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকে মারধর করে স্বাক্ষর নেয় ২০/২৫ জন যুবক। এর প্রতিবাদে ৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ১০ শ্রেনি পর্যন্ত সকল ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্বারক প্রদান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। তিনি আরো বলেন, ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থীরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরিক্ষা বর্জন করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরিন আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উপরে হামলার ঘটনা শুনেছি। আমি ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।