জামালপুর জেলার মেলান্দহের কুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ বাগানে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ চাষে ব্যাপক সাফল্যের প্রত্যাশা করছেন কৃষাণী নাসরিন আক্তার। জানাগেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় জামালপুরের মেলান্দহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষ প্রদর্শনীর আয়োজনে করেন। এতে আগ্রহী হয়ে উঠেন জামালপুর জেলার মেলান্দহের কুলিয়া গ্রামের কৃষানী নাসরিন আক্তার। তিনি নিজ বাড়ীর সামনে ৩৩ শতাংশ জমির উপর গড়ে তোলা ফলজ ও বনজ বাগানের মধ্যে মসলা জাতীয় ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রদর্শনী ফসল হলুদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বারি -১ জাত হলুদ চাষ শুরু করেন। কৃষাণী নাসরিন আক্তার গত ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নতজাত ব্যাবহারসহ সুষম সার ব্যবস্হাপনায় সাথী ফসল হিসাবে হলুদ রোপণ করেন। এরপর তিনি নিয়মিত বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন। তার নিবিড় পরিচর্যায় তার ফলজ ও বনজ বাগানের সাথী ফসল হলুদ এর গাছ অত্যান্ত সুস্থ সবল হয়ে তরতর করে বেড়ে উঠছে। বর্তমানে তার ফলজ ও বনজ বাগানের সাথী ফসল হলুদ গাছের সতেজতার সন্দৌর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় দর্শনার্থীরা। এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, বিশেষ করে নাসরীন আক্তারের নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে উঠা হলুদ গাছের দর্শনার্থী কৃষকরা ধারনা করছেন হলুদ গাছগুলো খুব ভালো হয়েছে। তাই এর ফলনও হবে আকাশচুম্বী। তাইতো উচ্চ ফলনের আশায় সম্প্রতি গাছগুলের নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণী নাসরিন আক্তার।কৃষিতে যে নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে তার প্রমান নাসরীন আক্তার। তিনি আমাদের পরামর্শে এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় সাথী ফসল হিসাবে হলুদ চাষ করেছেন যা উপজেলায় সাড়া ফেলেছে। মসলা ফসল হিসাবে হলুদের চাহিদা এবং বাজার মূল্য অনেক বেশি। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলার আবহাওয়া ও আপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলো হলুদ চাষের উপযুক্ত। আমরা তাকে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছি। উনার দেখাদেখি আরও অনেকই আগামীতে হলুদ চাষের ইচ্ছা পোষন করেছেন যা খুবই ইতিবাচক। আশা করি তিনি কৃষিতে অনেক লাভবান হতে পারবেন। নাসরিন আক্তারের মতো কৃষি উদ্যোক্তাদের হাত ধরে আগমীতে কৃষি আরও উন্নত হবে।