পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনে কিসের সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক বনে বন থাকবে। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মধ্যে পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব পয়সা বিতরণ করা না। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক বনায়নে আর কোনও সামাজিক বনায়ন হবে না।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ অপচয় রোধে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলায় সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয় তা জানতে হবে। আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার আস্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব না। তাই আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা সবাই দায়িত্ব, কারো একার নয়। ক্ষতিকর প্লাষ্টিক বর্জনের পাশাপাশি প্লাস্ট্রিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। নতুন করে কেউ যেন প্লাস্টিক তৈরি ব্যবস্থাপনায় না যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লাস্ট্রিকের জীবাশ্ম পুড়িয়ে রোধ করতে হবে। নয়ত একশত বছরের পলিথিন হারাবে না।
তিনি আরও বলেন, ইটভাটার মাটি কোথা থেকে আসে তার সঠিক তথ্য জানানো এবং পোড়ানো ইট নতুন করে পোড়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে অনিয়মকারীদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশনস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফারমিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ প্রমুখ।