গত রাতে দুটি পৃথক ফ্লাইটে লেবানন থেকে ১৮৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সর্বশেষ স্কাই ভিশন এয়ারলাইন্স-এর এসভিআই- ৫০০২ ফ্লাইট যোগে ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আজ (০৬ নভেম্বর ২০২৪) রাত একটায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এ ফ্লাইটটি ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম )-এর অর্থায়নে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট।
এর ঠিক ২ ঘণ্টা আগে ০৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে রাত ১১টায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটে লেবানন থেকে আরও ৩২ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়।
এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম )-এর সহযোগিতায় যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএ্ম)-এর কর্মকর্তাবৃন্দ প্রত্যাবাসনকৃত এ সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
আইওএম-এর পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পাচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সাথে তাঁরা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশী বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশী দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সকলকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে।
বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন এবং যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।