খাগড়াছড়িতে আকস্মিক ঝড় ও বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এসি ও জানালা ভেঙে গেছে। এতে আহত হয়েছেন একজন। এ ছাড়া গাছ ভেঙে একটি জীপ গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি সদরসহ ৪টি উপজেলা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া। বজ্রপাত নিহত ভোগীরণ ত্রিপুরা সদর উপজেলার আলুটিলার অচাই পাড়া এলাকায় বাসিন্দা। তবে নিহত আরেকজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বিকালে ঝড়ের আগে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাত হয়। এ সময় ভোগীরণ ত্রিপুরা গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান। এ ছাড়া মহালছড়ির সিঙিনালা এলাকায় বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়। খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাগত সরকার বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছ ও ডালপালা ভেঙে ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের উপর পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সংযোগ তারও ছিঁড়ে গেছে। লাইন চেকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে; তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি। ফায়ার সার্ভিসের রাজেশ বড়ুয়া বলেন, শহরের বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। কয়েকটি স্থান থেকে ভেঙে পড়া গাছ সরানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ চলছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে গাছ উপড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জানালার কাঁচ ও দুটি এসি নষ্ট হয়ে গেছে।