পরিকল্পিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ নওগাঁ জেলা স্থানীয় মুক্তির মোড়ে প্রধান সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্য, কারাবন্দী ও মৃত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। তারা বলেন ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিলো জাতির জন্য কলঙ্কের অধ্যায়ের সূচনা। বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কোন কুট কৌশল হাসিলের অংশ ছিল বলে বক্তারা উল্লেখ করেছেন। বিডিআর সদস্যরা নির্দোষ ছিলেন। ঐ ফ্যাসিষ্ট সরকার তার প্রভূ দেশকে সন্তুষ্ট করতে সেনাবাহিনীর সামর্থ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এবং বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করতে প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সূদৃঢ় করাতেই নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রষড়যন্ত্র পূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন সাহাদাত বরণ করেন। চাকুরীচ্যুত ও কারাগারে বন্দী বিডিআর সদস্যদের পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালীন বক্তব্য রাখেন বিডিআর সদস্য দুলাল হোসেন, মোঃ সোহরাব হোসেন, কারাবন্দী বিডিআর সদস্য জাহঙ্গীরে স্ত্রী রেশমী বানু, কারাবন্দী বিডিআর সদস্যের সন্তান রেজোয়ান, মৃত বিডিআর সদস্যের সন্তান মোহায়মেনুল হক, চাকরি চ্যুত নায়েক সুবেদার সামাদ শাহানা, বগুড়া জেলার জিয়াউল হক, কারাবন্দী আবু হানিফের কন্যা বিবি হাওয়া, কারাবন্দী বিডিআর সদস্যের ভাই মাসুদ রনাসহ অন্যরা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করেন।