গাজীপুর মহানগরীর ভূরুলিয়া এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসায় যাতায়াতের দখল করা রাস্তা খুলে দেওয়াসহ অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গত রবিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে এলাকাবাসি। আবেদনের অনুলিপি সেনা ক্যাম্প, গাজীপুর প্রেসক্লাব এবং ওসি মেট্রো সদর থানায় পাঠানো হয়েছে। গণস্বাক্ষর যুক্ত আবেদন এবং স্বরেজমিন গিয়ে জানাযায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম ভূরুলিয়া এলাকায় দানকৃত ৮০ শতাংশ জমিতে ভূরুলিয়া সরকারী প্রঃ বিঃ, ভূরুলিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও জামে মসজিদ, হিম্মত সরকার কওমী মাদ্রাসা এবং ভূরুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানের পূর্ব অংশের মানুষ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সুবিধেোর্থে রেল লাইন পর্যন্ত ৬ফুট প্রস্থ একমাত্র রাস্তাটি পর্যায় ক্রমে পৌর সভা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে একাধিকবার উন্নয়ন ছলিং ও মেরামত কার্যক্রম করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি হঠাৎ ধনী হওয়া উশৃঙ্খল, মাদকসেবী, দাঙ্গাবাজ, ঝগড়াটে ও মুখ ফাজিল প্রকৃতির জাহাঙ্গির পিতা কালু মোল্যাহ ও তাঁর স্ত্রী মোসাঃ ইয়াসমিন উক্ত রাস্তার পশে জমি ক্রয় করে অনুমোদন বিহীন বাড়িঘরসহ রাস্তার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে করে পূর্ব পাশের জনসাধারণ ও শিশু শিক্ষার্থীসহ আশপাশের মসুল্লিদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ এবং সামাজিক ও স্থানীয় গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট, (গাজীপুর সদর এসিল্যান্ড) সরেজমিন তদন্ত করে রাস্তাটি খুলে দিলেও সম্প্রতি আবারো রাস্তাটি বন্ধ করে। স্থানীয় কাউন্সিলর, এলাকাবাসিসহ মসুল্লীরা এই রাস্তাটি বন্ধের প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা এই রাস্তায় চলাচল রতদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নারী নির্যাতন মামলাসহ খুন জখমের হুমকীদিয়ে রাস্তাটি ফের দুইদিক থেকে বন্ধ করে দেয়। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় জুম্মার নামাজসহ বিভিন্ন ওয়াক্তি নামাজে আশপাশের মসুল্লি, মাদ্রাসা ও সরকারী স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ঝুকিপূর্ণ এবং কয়েকটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পরায় তারা মসজিদ মাদ্রাসার ভেতর দিয়ে আতি কষ্টে চলাচল করতে দেখা যায়। আবেদনের অনুলিপি অধিনায়ক সেনা ক্যাম্প, গাজীপুর প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ক্লাব এবং অফিসার্স ইনচার্য, মেট্রো সদর থানা, গাজীপুর কে দেওয়া হয়েছে।