সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবৈধভাবে যত্রতত্র পুকুর খননে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রায় ৪শ হেক্টর ফসলি জমির আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। এই জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে স্থানীয় কৃষককরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। পরে পুকুর খনন বন্ধে, জমি ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ৫ শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাড়াশ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ রেজা সেতার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইউপি সদস্য মো. সোলাইমান হোসেন, উপজেলা কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর শহিদুল ইসলাম, মাসুদ রানা, সেলিম তালুকদার, মো. মিলন সরকার, আব্দুস সামাদ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যত্রতত্র অবৈধভাবে পুকুর খনন করে উপজেলায় বোয়ালিয়া, সরাপপুর, ঝুরঝুরী, ভিকমপুর ও জাহাঙ্গীরগাঁতীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে হাজার-হাজার বিঘা উর্বর আবাদি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। এসব জমির জলাবদ্ধতা নিরসন না করা হলে আগামী রবি শস্য ও বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়বে। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, পুকুর খননের ফলে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে সেটা সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তাড়াশ উপজেলার সবচেয়ে বড় সমস্যা পুকুর খনন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ছয়জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।