২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। সেখানে ২৬ জুলাই স্থানীয় সময় জুমার পর তার প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে তার পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
জানাজায় প্রায় দুই হাজার মানুষ উপস্থিত হন বলেও জানানো হয়। তবে শাফিন আহমেদের মরদেহ আনার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে শিল্পীর ছেলে রাকিন জানান, বাবাকে দেশে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখান থেকে দেশে নেওয়ার বিষয়ে অনেক কাজ রয়েছে। বেশকিছু প্রসেসের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হবে। সে প্রসেসগুলো সম্পন্ন হলেই আমরা তাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারব। এখন আপাতত এখানেই বাবার মরদেহ রাখা হচ্ছে। আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ তাকে যেন শান্তিতে রাখেন।
মাইলস ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ও বেজ গিটারিস্ট শাফিন আহমেদ জুলাইয়ের ৯ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে কনসার্ট করেন তিনি। ভার্জিনিয়ায় গত ২০ জুলাইয়ে আরেকটি কনসার্টে অংশ নেওয়া আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন হন গায়ক। হাসপাতাল থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেন বেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম।
শাফিন আহমেদের মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।