মফস্বলের খেটে খাওয়া মানুষের প্রিয় গান বাউল। শীতের রাতে দেশ জুড়ে জমে উঠে পালা গানের আসর। দিনে মাঠে-ঘাটে কাজ করে রাত জেগে কৃষক-শ্রমিক সবাই মিলে গান শুনেন। গানকে ভালোবেসে ৮ বছর বয়সে বাড়ির কাউকে না বলে ১৯৯৩ সালে ঢাকার মিরপুর শাহ আলীর দরবারে বাউল শিল্পীদের অফিসে চলে আসেন বিশিষ্ট বাউল শিল্পী বীনা সরকার। ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বীনা সরকারের বাবার নাম হাসান আলী শেখ। মায়ের নাম সুফিয়া বেগম। সিরাজ ভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন বাউল শিল্পী নীলা পাগলীর সঙ্গে। ৮ মাস গানের তালিম নিলেন নীলা পাগলীর কাছে। শুরু হলো গান। ২০০১ সালে এরপর তালিম নেন লতিফ সরকারের কাছে। বীনা সরকার প্রথম পালাগান শুরু করেন ২০০৩ সালে কেরানিগঞ্জে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ানের সঙ্গে। এরপর লতিফ সরকার, কাজল দেওয়ান, আলেয়া, লিপি সরকার শেফালি সরকার, শাহ আলম সরকার, ছোট আবুল সরকার, সুনীল কর্মকার ও বাউল সালামের সাথে পালাগান করেন। তিনি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১০-১৫টি গানের সিডি ও অডিও ক্যাসেট বের হয়। তার উল্লেখযোগ্য পালা গান ছোট রজ্জব দেওয়ানের সঙ্গে নারী-পুরুষ, শুরু-শিষ্য, শরিয়ত-মারিফত, বারেক বৈদেশী। বীনা সরকার বর্তমান যুগের আধুনিক বাউল গান গেয়ে দর্শক প্রিয় হয়েছেন।