ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী মুক্তির দাবিতে মারপিট ও হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। গত বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস. আই মো. শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আসামী করে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে গ্রেফতার করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে তার সমর্থকেরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে প্রতিবাদ কর্মসূচীর ডাক দেয়। বিকেলে মাঠের পূর্ব দক্ষিণ কোনে শহীদ মিনারের সামনে ৪-৫ শ মানুষজন জড়ো হয়। সেখানে চিন্ময় কৃষ্ণদাসের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় মামলার বাদী ঠাকুরগাঁও সদর থানার এস,আই মো: শফিউল ইসলাম তাদের সেখানেই শান্তিপুর্ন কর্মসূচী পালনের জন্য জানান। কিন্তু সমাবেশে অংশগ্রনকারীরা পুলিশের কথা না মেনে মাঠ থেকে র্যালি নিয়ে বের হয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় জড়ো হয়। সেখানে পুলিশ তাদের আটকে দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার পাশে থাকা ইট-পাটকেল, লোহার রড ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও পথচারীদের উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি অফিস ভাংচুর করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন– রতন চন্দ্র রায় (৩০), সুজন রায় (২৪), তাপস কুমার রায় ওরফে তপু (২০), শিমুল কুমার দাস (২২), অনুপম রায় শুভ (২৩), পরমেশ্বর বর্মন (২০), পরিমল বর্মন (১৯), তপু রায় (১৯), ধনী চন্দ্র রায় (১৯), শান্ত রায় (১৯), রোমান চন্দ্র (১৯), সুজন চন্দ্র বর্মন (১৯), ছোটন চন্দ্র রায় (১৯), পরিতোষ চন্দ্র রায় (৩১), শুভ্রদেব মদক ওরফে বাবু (২২), কল্যাণ বর্মন (২০), তরুন বর্মন (২১), বঙ্কিম রায় (৩০), হৃদয় রায় (২৩), সুশিল চন্দ্র রায় (৪০), পলাশ চন্দ্র রায় ওরফে জয় (২৮), দিপু রায় (২৪) ও সবুজ চন্দ্র রায় (২০)।