রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মী’র বিষয় ভিত্তিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কথা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত পরিবারদের সদস্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ও উপজেলা প্রসাশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লোমহর্ষক হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের গল্প শোনান আন্দোলনে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহদত হোসেন সাব্বির। এ সময় রংপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে হামলার শিকার আহত,নিহত কারাবরণকারী শিক্ষার্থী সম্পর্কে আবেগঘন অশ্রুশিক্ত নয়নে কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঙ্গাচড়া উপজেলা সমন্বয়ক আলী আল রাদিত রেশান। আন্দোলনের বাস্তবতা উপলব্ধির অভিজ্ঞতা নিয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল ইমরান জানান, আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছে দুঃখ নাই, তবে ওই ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। সেই সাথে নিহত পরিবার ও আহতদের পূর্নবাসনকরা সহ উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিষয়ের আলোকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, সদস্য সচিব আইয়ুব আলী, রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী রায়হান সিরাজী, উপজেলা সমবায় অফিসার আবতাবুজ্জামান, গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আখের মিঞা,গঙ্গাচড়া উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মিজবাহ-উল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান (১২), মনোয়ারুল ইসলাম (২১), মফিজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সাব্বির (১৯), গোলাম রব্বানি প্রমুখ। সবশেষে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামান আহত, নিহত ও বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণে দো’আ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।