পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইজিবাইক চালক আল আমিনকে গুম করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে তাঁকে পঞ্চগড়ের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। গুম ও হত্যার শিকার আল আমিন বৈষম্য রিবোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। মামলার শুনানীতে বাদী পক্ষে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি সহ আদালতের এপিপিবৃন্দ এবং আসামী পক্ষে সাবেক পিপি এ্যাড. আমিনুল ইসলাম, এ্যাড. মির্জা সারোয়ার হোসেন, এ্যাড. আলী আসমান বিপুল প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। তবে মামলার শুনানীর সময় বাদী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, গত শনিবার রাতে সাবেক এই রেলমন্ত্রীকে ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় পঞ্চগড় আদালতে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া রোববার সকাল থেকে পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তাকে নিয়ে আসা হয়। মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাবেক এই রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুম ও খুনের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর ছেলেকে সাবেক এই মন্ত্রীর হুকুমে মারধর করা হয়েছে। পরে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা আদালতে বলেছি যেহেতু ভিকটিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সেহেতু কোনভাবেই ৩০২ ধারা হতে পারে না। আমরা জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। তবে আদালত তাকে জেলকোর্ট অনুযায়ী ডিভিশন দিয়েছেন।’ মামলার বাদী পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আদম সুফী বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। সাবেক এই রেলমন্ত্রীর নির্দেশে মামলার অন্য আসামীরা আল আমিনকে হত্যা করেন। আমরা জামিনের বিরোধীতা করেছি। একই সাথে আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছি।’ এর আগে, গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন গুম ও হত্যার শিকার ইজিবাইক আল আমিনের বাবা মনু মিয়া। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়।