ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় হিসেবে কফির কদর রয়েছে পুরো বিশ্বে। বাংলাদেশেও প্রতিবছর বিপুল পরিমান কফি আমদানি হয়ে থাকে। আবহাওয়া ও জলবায়ু কফি চাষের অনুকূল, তবে ভালো ও উন্নত স্বাদের ও ঘ্রাণের কফি পেতে এর চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষি অধিদপ্তরের কয়েক বছর পুর্বে এই কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বর্তমানে দেশে পাহাড়ী এলাকায় কফি চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এদিকে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় পাহাড়ী অঞ্চলে প্রথম কফি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন সাবেক ব্যাংকার ও কৃষি উদ্যোক্তা মো. ইউসুফ। সরেজমিনে বাগান পরিদর্শনকালে দেখা যায়,উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সাবেক ব্যাংকার কৃষি উদ্যোক্তা মো: ইউসুফ কফি চাষ শুরু করেছেন। দুইবছর পূর্বে রোপিত গাছে ফল আসতে শুরু করেছে এ বছর থেকে। বাগান ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি গাছেই কফি ফল এসেছেঅ। কফি ছায়া পছন্দকারী উদ্ভিদ। মো: ইউসুফ তার মিশ্র ফলবাগানের ফাঁকে ফাঁকেই কফি লাগিয়েছেন। এতে বাগানের বহুমাত্রিক ব্যবহার ও একাধিক ফসল চাষ বাগানকে লাভজনক করে তুলবে বলে তিনি আশাবাদি। কৃষি উদ্যোক্তা মো. ইউসুফ জানান, ২০২১ সালে উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: আল মামুন শিকদার এর পরামর্শ, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় তিনি কফি চাষ শুরু করেন। সে বছর ৫০০ চারা রোপন করেন। চারার বৃদ্ধি আশানুরুপ হওয়ায় ২০২৩ সালে পূণরায় ৫০০ টি চারা রোপন করেন। তিনি চারার পাশাপাশি বাগান ব্যবস্থাপনায় জৈব সার, বালাইনাশক, নেট প্রভৃতিও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল মামুন শিকদার জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় হাটহাজারী উপজেলায় ১৬ হে. জমিতে কফি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। নতুন ফসল হিসেবে কফি চাষে কৃষকদের প্রথমদিকে কিছুটা সমস্যা হলেও উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও সঠিক পরামর্শে বাগানগুলো ধীরে ধীরে লাভজনক পর্যায়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, হাটহাজারী উপজেলার লালিয়ারহাট, ফতেপুর, নাঙ্গলমোড়া, মির্জাপুর ও উদালিয়ায় কফি বাগান স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে লালিয়ারহাট ও উদালিয়ায় স্থাপিত বাগানে এ বছর ফল এসেছে। প্রকল্প হতে কফি প্রক্রিয়াজাত করার পাল্পিং মেশিন কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে যাতে সহজেই কফি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরন কাজ সহজ হয়। দেশীয় চাহিদা পূরণ, আমদানি হ্রাস ও রপ্তানি বাজারে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশে কফি চাষ অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।