জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কেউ জুলুম করতে পারবে না। ’
‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে অফিস-আদালত কোথাও গিয়ে আপনি লাঞ্ছিত হবেন না।
কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হবেন না। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন। শ্রমিক তার ঘামের ন্যায্য মূল্য পাবেন। বিচারক তার আসনে বসে মানুষের ওপর জুলুম করবেন না। জামায়াত যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করবে,’ যোগ করেন তিনি।
সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন। অনেকের মধ্যে বক্তব্য দেন- মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘সমতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে থাকবে মানবিকতা, মূল্যায়ন, গ্রহণযোগ্যতা ও অধিকার। কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করবে। তাহলে ছাত্র-জনতার অভ্যত্থানের রক্তের সঠিক মূল্যায়ন হবে। ’
‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের মানুষ ছিল জালিম সরকারের কারাগারে। খুন, গুম, নির্যাতনে মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করেছে। মেধাকে মূল্যায়ন না করে দলের অন্ধ ভক্তদের গুরুত্ব দিয়ে সুযোগ সুবিধা ও চাকরি দেওয়া হতো। এ বৈষম্য ছাত্র ও যুবকরা মেনে নিতে পারেনি। কারণ সাধারণত ছাত্র, যুবক ও তরুণরা প্রতিবাদী হয়। এজন্যই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নেমে হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছে। লক্ষাধিক ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবুও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। আহতরা জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরেক পা, আরেক হাত, আরেক চোখ সব বিলিয়ে দিয়ে হলেও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে প্রস্তুত ছিলাম। তাদের এ রক্তদান ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে থাকবে। তাদের রক্তের বিনিময়েই স্বৈরাচারমুক্ত একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেলাম,’ যোগ করেন ড. শফিকুর রহমান।
এসময় তিনি আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা, শোকসন্তপ্ত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সম্মেলন শেষে জামায়াতের আমির ঝালকাঠির নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদরাসার মাঠে এক সুধী সমাবেশে অংশ নেন।