কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরো দুইজন। নিহত মো. জোবায়ের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে। আহতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মেস্তরির ছেলে মো. শুক্কুর। গত রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে। নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস এ তথ্য জানিয়েছেন। নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বনবিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, রবিবার বেলা ১২ টার দিকে শাহ আলম, জোবায়ের ও শুক্কুর জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণে যান। তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চরে চলে যান। পুলিশকে আহতরা জানিয়েছেন, কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা মাইনটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে তারা আহত অবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার পৌঁছান। নৌ-পুলিশ পরিদর্শক তপন কুমার বলেন, “তীরে পৌঁছার পর আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে আসলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সেখানেই সে মারা যায়।” আহত দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। এর মধ্যে অবস্থা মো. শুক্কুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণে জোবায়েরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত উড়ে গেছে। তার বাম পায়ের কিছু স্থানেও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও শাহ আলম ও শুক্কুরের শরীরেরও বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।