এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ গমনেচ্ছুরা হজ ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হননি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এমপি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ থেকে কোনো হজ গমনেচ্ছু সৌদি আরবে গমন করেননি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ গমনেচ্ছুরা হজ ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ। তবে, এ ধরনের সমস্যা নিরসনকল্পে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আলোচনা করে শিডিউল নির্ধারণ করা হবে।
এইচ এম বদিউজ্জামানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৭ম পর্যায় প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ইমামদের মাসিক সম্মানি পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পকে বিস্তৃত করে ইমামদের প্রতিমাসে বেতন ও ঈদ বোনাসসহ নিশ্চয়তার সাথে প্রদান করা হয়ে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম -৬ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্প কেবল মাত্র শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদানের জন্য গৃহীত তথাপি কেন্দ্র শিক্ষকগণ শিক্ষা প্রদানের সম্মানি বাবদ মাসে পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিতদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি।